ব্র্যান্ড নাকি প্রোডাক্ট ?

Spread the love

মনে করুন:
আপনি একটি শপিং মলে হাঁটছেন। হঠাৎ একটি ব্র্যান্ডের লোগো আপনার চোখে পড়ল যেটা আপনার খুব চেনা। পাশে আরেকটি লোগো আছে, যা আপনার জন্য একদমই নতুন। এবার প্রশ্ন হলো — আপনি কোন ব্র্যান্ডকে প্রায়োরিটি দিবেন ?

বেশিরভাগ মানুষ কিন্তু চেনা ব্র্যান্ডটাই বেছে নেবেন, আপনিও হয়তো তাইই করবেন। কারণ আমরা প্রোডাক্ট নয়, brand trust-এ বেশি বিলিভ করি।


আপনার গল্প থেকে শুরু করা যাক

ধরুন, আপনি নতুন একটি laptop কিনতে চান। দোকানে গিয়ে দেখলেন দুটি অপশন—একটি পরিচিত ব্র্যান্ড, আরেকটি একেবারে নতুন কোনো ব্র্যান্ড। নতুন ব্র্যান্ডটির প্রোডাক্ট স্পেসিফিকেশন যথেষ্ট ভালো এবং দাম তুলনামূলক কম। তবুও আপনি কাকে বেছে নেবেন?

সম্ভবত পরিচিত ব্র্যান্ডটি। কেন? কারণ এটি আপনার মনে trust এবং reliability তৈরি করেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৭৫% এর বেশি ক্রেতা সেই প্রোডাক্টটাই বেছে নেন, যেটি তাদের পরিচিত কোনো ব্র্যান্ডের। এমনকি দাম একটু বেশি হলেও তারা ব্র্যান্ডের প্রতি ভরসা রাখেন।


ব্র্যান্ড ভ্যালু কেন এত ইফেক্টিভ ?

  1. Trust Factor:
    একটি পরিচিত ব্র্যান্ড মানেই ক্রেতার মনে ভরসা। এর জন্য আপনি এমন একটা বিশ্বাস পান যে, প্রোডাক্টের কোয়ালিটি ভালো হবে।
  2. Emotional Connection:
    অনেক ব্র্যান্ড শুধু প্রোডাক্ট নয়, একটি লাইফস্টাইলও সেল করে। উদাহরণস্বরূপ, Nike তাদের প্রোডাক্টের মাধ্যমে “Just Do It” এর মতো একটি inspirational attitude সেল করে।
  3. Consistency:
    পরিচিত ব্র্যান্ডগুলো সাধারণত consistent quality ধরে রাখে, যা ক্রেতাদের দীর্ঘমেয়াদে loyal রাখে।

কিছু তথ্য এবং উদাহরণ

  • Apple: তারা শুধু প্রোডাক্ট বিক্রি করে না, বরং একটি premium experience বিক্রি করে। ৮০% এর বেশি গ্রাহক Apple-এ loyal কারণ তারা ব্র্যান্ডটিকে innovative এবং trustworthy মনে করেন।
  • Coca-Cola: এই ব্র্যান্ড তাদের storytelling এবং emotion-driven marketing-এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
  • Tesla: অনেক বছর ধরে প্রোফিট না করেও তারা ব্র্যান্ডের উপর মানুষের future belief ধরে রাখতে পেরেছে।

আপনার জন্য শিক্ষা কী?

একটি প্রোডাক্ট বিক্রি করা এক ব্যাপার, আর একটি ব্র্যান্ড তৈরি করা সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। ব্র্যান্ড আপনার ব্যবসার প্রতি মানুষের ভরসা এবং অনুভূতির জায়গা তৈরি করে।

আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে, শুধু প্রোডাক্টের স্পেসিফিকেশন নয়, ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করার জন্য কিছু জিনিস গুরুত্বপূর্ণ:

  1. Authentic Storytelling: আপনার ব্র্যান্ডের পেছনের গল্পটি আকর্ষণীয় এবং বাস্তবধর্মী হতে হবে।
  2. Customer-Centric Approach: পণ্য নয়, বরঞ্চ গ্রাহকের সমস্যা সমাধান করার দিকে নজর দিতে হবে।
  3. Consistency: পণ্যের গুণগত মান এবং সার্ভিসে consistency বজায় বজায় রাখতে হবে।

এবার তাহলে আপনিই ডিসাইড করুন, সেলস হচ্ছেনা দেখে কি প্রাইস কমাবেন নাকি ব্রান্ড ভ্যালু বাড়াবেন?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × three =