বিজনেস স্কেল করার ভুল ধারণা: Right ways to smart growth

Spread the love

কল্পনা করুন:

আপনি একটি স্টার্টআপ শুরু করেছেন, যেখানে আপনি কাস্টমাইজড হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট বিক্রি করেন। প্রথম কাস্টমার পাওয়ার পর আপনি উচ্ছ্বাসিত। কাস্টমারের ফিডব্যাক দারুণ, আর সেলও আস্তে আস্তে বাড়ছে। আপনি ভাবলেন, সময় এসেছে স্কেল করার।

পরের মাসেই আপনি বড় একটি অফিস ভাড়া করলেন, আরো কিছু নতুন কর্মচারী নিয়োগ দিলেন। আপনার কনফিডেন্স বেড়ে গেল। কিন্তু কয়েক মাস পর যখন খরচের হিসাব করতে বসলেন, দেখলেন সেল বাড়লেও লাভের পরিমাণ বাড়েনি। নতুন কর্মচারীরা এখনো ট্রেনিং-এর পর্যায়ে, আর বড় অফিসের রেন্টও বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে: “আমি কি ভুল করছি?”


বিজনেস স্কেল করার ক্ষেত্রে সাধারণ ভুল ধারণা:

অনেক উদ্যোক্তা মনে করেন, স্কেলিং মানেই দ্রুত বড় হয়ে যাওয়া। তবে এটা পুরোপুরি সত্য নয়। বড় হওয়ার ইচ্ছা থাকা ভালো, কিন্তু তা সঠিক স্ট্র্যাটেজি ছাড়া হলে সেটা সফলতার পরিবর্তে বিপর্যয় আনতে পারে।

কেন এই ভুল ধারণা হয়?

  1. সেল আর প্রফিটের বিভ্রান্তি:
    অনেক সময় উদ্যোক্তারা বেশি সেল মানেই বেশি প্রফিট মনে করেন। অথচ সেলের তুলনায় খরচ বেড়ে গেলে প্রফিটের জায়গায় লস হতে পারে।
  2. অপরিকল্পিত এক্সপ্যানশন:
    বড় টিম, বড় অফিস বা একাধিক মার্কেটে দ্রুত প্রবেশ করার ফলাফল সবসময় ইতিবাচক হয় না।
  3. অপর্যাপ্ত রিসোর্স:
    বিজনেস মডেল ব্যাটলপ্রুফ বা টেকসই না হলে, স্কেল করার চেষ্টায় ব্যবসা হুমকির মুখে পড়ে।

স্ট্যাটিসটিক্স যা ভাবাবে:

  • CB Insights অনুযায়ী, ৩৮% স্টার্টআপ ব্যর্থ হয় কারণ তারা স্কেল করার সময় ক্যাশফ্লো ম্যানেজ করতে পারে না।
  • Harvard Business Review জানাচ্ছে, ৭৫% কোম্পানি সঠিক স্ট্র্যাটেজি ছাড়াই স্কেল করতে গিয়ে ২-৩ বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।
  • Startups.com এর রিপোর্ট বলছে, বিজনেসের প্রথম ৫ বছরে টিকে থাকা কোম্পানির সংখ্যা মাত্র ৫০%, যার মধ্যে স্কেলিং সমস্যা একটি বড় কারণ।

স্মার্ট স্কেলিং-এর সঠিক উপায়:

১. স্টেপ-বাই-স্টেপ গ্রোথ:

বড় বিনিয়োগের আগে ছোট ইনভেস্টমেন্ট দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করুন। উদাহরণস্বরূপ, নতুন প্রোডাক্ট লঞ্চ করার আগে মার্কেট টেস্টিং করুন।

২. অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধি করুন:

নতুন কর্মচারী যোগ করার আগে বর্তমান টিমের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দিন। টিম ট্রেনিং এবং টুল ব্যবহারে ইনভেস্ট করুন।

৩. ডেটা-ড্রিভেন ডিসিশন নিন:

ডেটা এবং অ্যানালাইসিস আপনাকে দেখাবে, কোথায় এবং কীভাবে স্কেলিং করতে হবে। আবেগের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিবর্তে মার্কেট এবং কাস্টমার ডেটা ব্যবহার করুন।

৪. ফোকাস ঠিক রাখুন:

প্রথমে একটি মার্কেটে আপনার প্রোডাক্টের ইমপ্যাক্ট বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করুন, তারপর অন্য মার্কেট এক্সপ্লোর করুন।


বিখ্যাত কোম্পানির উদাহরণ:

আপনার কি জানা আছে, Amazon তাদের প্রথম ৭ বছর ধরে লাভের মুখ দেখেনি? তারা গ্রাহকের আস্থা অর্জন আর মার্কেট শেয়ার বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছিল। একইভাবে Uber এবং Tesla’র মতো কোম্পানি ইচ্ছাকৃতভাবে লস করতে থেকেছে, ভবিষ্যতের পটেনশিয়াল ধরে রাখার জন্য।

অন্যদিকে, WeWork-এর মতো কোম্পানি স্কেলিং-এর সময় অতিরিক্ত খরচ আর স্ট্র্যাটেজির অভাবে বড় সমস্যায় পড়ে।


আপনার মতামত জানতে চাই:

এখন আপনার ব্যবসা বা অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাই। জানাবেন না ? 😊

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =