The Millionaire’s Mentality | যেকথা আপনাকে কেউ কখনো বলবে না।

Spread the love
  • আচ্ছা ভাই , আপনি কি ধনী হতে চান ?
  • এ আবার কেমন প্রশ্ন, চাইবো না কেন ? – হয়তো প্রশ্ন শুনে এভাবে পালটা প্রশ্ন করবেন আপনি আশ্চর্যের সুরে।
  • আচ্ছা, ঠিক আছে, ধনী যে হতে চান, এর জন্য কি করতে হবে ?
  • কি করতে হবে আবার !, বেশি টাকা কামাতে হবে।
  • সেটা কিভাবে ? 
  • (এইবার আপনি একটু বিরক্ত হয়ে হয়তো ভাববেন, কি সব ফাও প্যাচাল পাড়তেসে এই লোক) কিভাবে আর। এখন যেখানে আছি, তার থেকে আরো বেটার পজিশনে যেতে হবে, আরো ভালো এবং বেটার অপশনের কোনো চাকরীর চেষ্টা করতে হবে।

আচ্ছা, বাকি কথা আমি শেষ করি, ভালো চাকরীর জন্য আপনার স্কিল ডেভেলপ করতে হবে যেনো নিজের দামটা বাড়ে, এইতো ? কিন্তু ভাই, আপনাকে আই অবশ্যই ডিজকারেজ করব না। তবে, আপনি যেখানে চিন্তাটা শেষ করছেন, আমি বলব, চিন্তা এখান থেকে শুরু করতে। হ্যা ভাই, আপনি যদি সত্যি ধনী হতে চান। চিন্তাটা এখান থেকে শুরু করতে হবে।

দেখেন, আপনি যখন চাকরী করছেন, পার্ট টাইম বা ফুল টাইম, তখন কিন্তু আপনি আপনার দেয়া সময়ের বিপরীতে টাকা পাচ্ছেন। হ্যা, আপনি স্কিলড হওয়ার মাধ্যমে নিজেকে আরো যোগ্য আর দামী করতে তুলছেন। এর অর্থ হচ্ছে, আপনি চাকরীতে যেই সময়টা দিচ্ছেন, তার দামটা বাড়াচ্ছেন। আর সেই টাইমটা বিক্রি করে আপনি বেতন/টাকা পাচ্ছেন।

এটাকে আমি টাইম বিক্রি কেন বলছি ? কারণ, ধরুন আমি যদি স্কিলকে নাম্বারের সাথে তুলনা করি, তবে আগে আপনার স্কিল ছিল আপনি শুধু হিসাব রক্ষন করতে পারতেন, মানে একাউন্টেন্টের কাজ পারতেন।, ঐ অবস্থায় আপনার বেতন ছিল ৩০ হাজার (জাস্ট ধরুন)। তাহলে ৪ সপ্তাহে এক মাস ধরে ২২ দিন কার্যদিবস এবং প্রতি ৮ কর্মঘন্টা ধরলে 

আপনি প্রতি মাসে কাজ করে ৮ * ২২ = ১৭৬ ঘন্টা

তাহলে আপনার ঘন্টা প্রতি কাজ করেন ৩০০০০ / ১৭৬ = ১৭০.৫ টাকায়। মানে আপনার প্রতি ঘন্টার মূল্য ১৭০.৫ । 

বিঃদ্রঃ যদি বাংলাদেশের প্রাইভেট সেক্টরে কর্মঘন্টার কোনো সীমা পরিসীমা নাই। বাট, হিসেব সহজ রাখলাম। কারণ, এদেশে ওভারটাইম পেমেন্ট কালচার খুব একটা নাই।

এবার ধরুন, আপনি আরো কিছু স্কিল রপ্ত করলেন, সেলস, মার্কেটিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, লীড জেনারেশন ইত্যাদি সব শিখে একাকার করে নতুন কোনো কোম্পানীতে কাজ শুরু করলেন। বেতন ১ লাখ (ধরি)। এখানেও কিন্তু, ওয়ার্ক আওয়ার মাস হিসেবে ১৭৬ ঘন্টাই।

তাহলে, এখানে আপনার প্রতি ঘন্টার মূল্য ১০০০০০/১৭৬ = ৫৭০ টাকা প্রায়।

আপনি এই ১৭৬ ঘন্টায় যত বেশি কাজই করেন না কেন, আপনাকে মাস শেষে এই এক লাখ টাকাই দেয়া হবে। সো, তার মানে কি দাঁড়ায়। আপনাকে আপনার সময়ের জন্য পে করা হচ্ছে, তাই নয় কি ? সোজা কথায়, আপনি আপনার সময় সেল করছেন।

এখন কথা হচ্ছে, সময় সেল করায় সমস্যা কোথায় ? 

না ভাই, আসলে প্রাথমিকভাবে কোনো সমস্যা নেই। ইজি ক্যাশ ফ্লো এর জন্য নিজের স্কিল বাড়িয়ে সময় সেল করা এটা ভালো অপশন, কিন্তু এটাতে স্টিক থাকা, এবং এর বাইরে চিন্তা না করাটা is not a good idea. অন্তত যদি আপনি আসলেই ধনী হতে চান।

দেখেন, The point I want to make, the value of time cannot be measured by money. সহজ কথায় সময় অমূল্য। এটার কোনো মূদ্রামূল্য হয় না। আপনি টাকা দিয়ে এটার মূল্য নির্ধারণ করতে পারবেন না। আপনি সময় হয়তো সেল করছেন একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকার বিনিময়ে। কিন্তু এর মানে এই না যে, ওটা সময়ের প্রকৃত মূল্য। মানুষের যখন খুব প্রয়োজন হয়, তখন অনেক সময় ১০ লাখ টাকার জিনিসও ৫ লাখ টাকায় ছেড়ে দেয়।

যাহোক, যা বলছিলাম। ধনী হতে হলে আপনাকে এভাবে চিন্তা করা থেকে বের হয়ে আসতে হবে ভাই।

আমি যদি ৫ বছরে মিলিয়নিয়ার হতে চাই আমাকে ঘন্টায় ১০০ ডলার কামাইতে হবে।
যদি ১ বছরে মিলিয়নিয়ার হতে চাই আমাকে ঘন্টায় ৫০০ ডলার কামাইতে হবে।

না ভাই, মিলিয়নিয়াররা এভাবে সময়ের মূল্য বের করে গতর খেটে চাকরী করে মিলিয়নিয়ার হয় না।

What they do is, they do not sell the time, they invest the time

তারা টাইমকে ইনভেস্ট করে এমন একটা সিস্টেম তৈরি করতে, যেটা তার জন্য মানি জেনারেট করবে। অর্থাৎ, সে টাইম ইনভেস্ট করে প্যাসিভ মানি জেনারেটিং সিস্টেম তৈরি করে। যার যত প্যাসিভ ইনকামিং সিস্টেম, ধনী হওয়ার পথে সে তত এগিয়ে।

বিশ্বাস করেন ভাই, আপনি যাদেরকেই দেখেন, যত ব্যবসায়ী দেখেন, যত মিলিয়নিয়ার, বিলিয়নিয়ার দেখেন, আপনার এলাকার কোনো ধনী বিজনেসম্যান কিংবা জুকারবার্গ-মাস্ক-গেটস, সবার ক্ষেত্রেই সেইম কাহিনী। হ্যা, সেই সিস্টেমটা বানাতে হয়তো তাকে প্রাইমারী স্টেইজে অনেক ইফোর্ট দিতে হতে পারে। কিন্তু, সিস্টেমটা যখন তৈরি হয়ে যাবে,তখন ইন শা আল্লাহ তাকে আর পেছনে ফিরে তাকানো লাগবে না। এতটুকু ইফোর্ট তো দেয়াই লাগবে। দুনিয়ায় কোন কাজ সফলতা কষ্ট ছাড়া হয়, বলেন ?

আপনি চাকরী করছেন, That is completely fine. কিন্তু আপনি জব শেষে বাসায় এসে কোনো একটা সাইড প্রজেক্ট ক্রিয়েশনে কাজ করুন। হতে পারে, সেটা কোনো SAAS প্রজেক্ট। এটা তৈরিতে যে টাইম দিচ্ছেন, সেই টাইমটাই হল ইনভেস্টমেন্ট। যদি প্রজেক্টটা বানানোর জন্য আপনি আরো কিছু লোক হায়ার করেন, তার মানে আপনি আপনার টাইমটা সেইভ করছেন। টাইমের পরিবর্তে টাকা ইনভেস্ট করছেন।

If you have enough money, choosing it instead of time for investment would be wiser decision cause in that case

Time > Money

কারণ, যেটার সাপ্লাই যত বেশি ওটার মূল্য তত কম। 🙂 

এমনকি আপনি যদি নিজে কন্টেন্ট ক্রিয়েশনও করেন, তবুও ওটা এক প্রকারের ইনভেস্টমেন্ট, কারণ তা আপনার ব্র্যান্ড ভ্যালু ক্রিয়েট করছে। ভবিষ্যতে প্রোডাক্ট প্রমোশন এন্ড ব্র্যান্ডিং এ তখন এটা কাজে লাগবে। অথবা, এই ব্র্যান্ড ভ্যালু কাজে লাগিয়ে কোন বিজনেসও শুরু করে ফেলতে পারেন।

তা ভাই, অনেক তো বকবক করলাম। এবার আপনার গল্প শুনতে চাই। আপনি কেমনটা ভাবছেন ? 

সময়টা কি বিক্রি করবেন নাকি ইনভেস্ট ?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − two =