নতুন বছর ২০২৪ঃ সন্তান ও নিজেকে নিয়ে পরিকল্পনা ও পরামর্শ

নতুন বছর ২০২৪ঃ সন্তান ও নিজেকে নিয়ে নতুন কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করছেন তো ?

Posted by
Spread the love

কেমন আছেন সবাই ?

কিছুক্ষন পরেই শুরু হবে নতুন বছর। নিশ্চয়ই সবাই নতুন বছরকে বরণ করে নিতে তোড়জোড় করছেন, আয়োজন করছেন ঘরোয়াভাবে বা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে। আর সেই সাথে নতুন বছরে নিজেদের জন্য কিছু প্ল্যান বা পরিকল্পনা ঠিক করে রেখেছেন। যদি না করে থাকেন তবে আসুন কিছু পরিকল্পনা সেট করি ।

নিজের সন্তানকে নিয়েঃ

প্রতিটি মানুষই ক্রমাগত ডেভেলপ করে, হোক সে দুগ্ধ শিশু বা কোনো প্রবীণ। আপনার সন্তানও এর বাইরে নয়। নতুন বছরে কিছু প্ল্যান সেট করুন যেনো মধ্যে কোনো উন্নতি সাধণ করা যায়। হতে পারে তা শারীরীক উন্নতি, মানসিক উন্নতি, ম্যানার শিক্ষা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ভাষা শিক্ষা, কো কারিকুলার এক্টিভিটিজ বা যেকোনো কিছু। কি শেখানোর লক্ষ্য ঠিক করবেন তা নির্ভর করবে আপনার সন্তানের বয়সের উপর।

যেমন ৪/৫ বছর বয়সী বাচ্চাদের নিয়ে যে প্ল্যান করতে পারেন,

  • তাকে পাশে নিয়ে ভালো বই পড়া। হতে পারে প্রতিদিন শোয়ার সময় তাকে একটি করে গল্প পড়ে শুনানো। নৈতিক গল্পের বই বাজারে পাওয়া যায়। দেখে শুনে আমাদের দেশী সহজ ভাষার ছবিসহ গল্পের বই কিনে আনতে পারেন। গল্পগুলো যতটা সম্ভব সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলুন।
  • সংখ্যা, ইংলিশ ও বাংলা বর্ণ শেখানো। অনেকে হয়তো আগেই শিখিয়ে ফেলেছেন। অনেকে আগেই শিখিয়ে ফেলেছেন হয়তো। তবে যারা শেখাননি, তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এই বয়সটায় বাচ্চারা অনেক বুঝে, তাই ২/৩ বছরের বাচ্চাদের চেয়েও অনেক দ্রুত বুঝবে আর শিখে ফেলবে ইন শা আল্লাহ। তাই এফোর্টও তুলনামূলক কম দেয়া লাগবে। তবে শেখাটা করবেন খেলার মাধ্যমে। আয়োজন করে বই নিয়ে “আসো লেখাপড়া করি” বলে আলাদা এনভায়রণমেন্ট তৈরি না করাই ভালো।
  • কথা বলার সময় একই কথা বাংলা ও ইংলিশে বলুন। এতে তার ইংলিশ ভাষার দক্ষতাও বাড়বে। যেমন, একই সাথে জিজ্ঞেস করবেন, “what are you doing, তুমি কি করতেস”, তাকে এটার উত্তরও শিখিয়ে দিবেন। ? 🙂
  • তাকে কিছু সূরা/দোয়া শেখাতে পারেন। এটার জন্য আয়োজন করে কিছু করার দরকার নেই, আপনি তার পাশে শুয়ে বসে নিজে নিজে শব্দ করে পড়লেই সে আপনা আপনি অনেকটা শিখে যাবে।
  • বাচ্চার জন্য একটি প্লাস্টিকে ব্যাংক কিনে তাতে প্রতিদিন রাতে তার সারাদিনের ভালো কাজের পুরস্কার হিসেবে এক টাকা করে রাখুন। সপ্তাহ শেষে এই টাকা তার হাত দিয়ে কোনো অভাবীকে দিতে বলুন। অভাবী কি, গরীব কারা, কেন তাদের সাহায্য করা উচিত এগুলাও তার সাথে আলোচনা করুন। তাকে ফিল করতে শেখান।
নিজেকে নিয়েঃ

যে নিজের কেয়ার নেয় না, সে অন্যের প্রতি কেয়ারিং কিভাবে – তাই আগে নিজের কেয়ার নেয়া শিখতে হবে। আপনিও তাই নিজেকে নিয়ে কিছু লক্ষ্য ঠিক করুন, যেগুলো আপনি করবেন। কিছু আইডিয়া দেই,

  • বই পড়ার অভ্যাস না থাকলে পুরো বছরে অন্তত ৩ টি বই পড়ার লক্ষ্য হাতে নিন। কোনো উপন্যাসের বই না। এমন বই যা আপনার চিন্তার খোরাক দিবে, কোনো নতুন কিছু জানতে পারবেন।
  • দান করা বাড়িয়ে দিন নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী। ধর্মীয় কারণের পাশাপাশি দেখবেন, মানসিক প্রশান্তি পাবেন এই ভেবে যে, আপনার উসিলায় কারো উপকার হচ্ছে।
  • কোনো একটি ভাষা শিখুন
  • কোনো একটি স্কিপ ডেভেলপমেন্টে সময় দেয়ার লক্ষ্য ঠিক করুন।
  • সপ্তাহে একটি দিন ( আর যদি খুবই খুবই ব্যস্ত হন তবে মাসে অন্তত একটি দিন ) ফ্যামিলি ( সন্তান ও স্বামী/স্ত্রী) সহ কোথাও ঘুরতে যাওয়ার লক্ষ্য নিন ।
  • সপ্তাহে একটি দিনের (একান্ত সম্ভব না হলে মাসে একটি দিনের) কোনো নির্দিষ্ট সময় নিজে একা ঘুরুন। একা মানে নিজের মত করে।

তবে এর বাইরেও আপনারা আরো কিছু করতে পারেন। কি করা যায় তা কমেন্টে সবার সাথে শেয়ার করবেন দয়া করে, যেনো অন্যরাও উপকৃত হয়। 🙂

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *